সুনামগঞ্জ সংবাদদাতাঃ এসএসসি পরীক্ষা ফেলে প্রেমিকের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে প্রেমিককে নিয়ে উধাও হয়ে গেল সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়দল উওর ইউনিয়নের পৈলনপুর গ্রামের ইছা মিয়ার কিশোরী কন্যা তানজিনা বেগম (১৬)।
তানজিনা বেগম বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত ৩০ জানুয়ারী সোমবার বিকেলে প্রেমিকের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন ও তোলপাড় শুরু হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পারিবারীক সুত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের বিশেষ ক্লাসে আসার কথা বলে একই ইউনিয়নের বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল মন্নাছ ও ১.২.৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্যা আমতৈল গ্রামের স্বপ্না বেগম দম্পতির ছেলে বাদাঘাট সরকারি ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সারোয়ার হোসেনের হাত ধরে পালিয়ে যায়।
বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম দানু বলেন, তানজিনা আমার স্কুল থেকে এবার এসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল কিন্তু সে পরীক্ষায় কী কারনে অংশ গ্রহন করেনি তা আমার জানা নেই।
এ ঘটনার পর তানজিনার চাচা বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও বহুল আলোচিত বাদাঘাট বাজারের পান দোকানদার মানিক হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী মাসুক আহমেদ ইউপি সদস্যা স্বপ্না বেগমের বাড়িতে গিয়ে ভাতিজীকে ফিরিয়ে দিতে নানা ভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। শুধু ইউপি সদস্যাকেই নয় প্রতিশোধ নিতে বাদাঘাট সরকারি ড্রিগ্রী কলেজে এসএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী স্বপ্না বেগমের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে শাপলা বেগমকেও তুলে নিয়ে যাবার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে মাসুক ও তার লোকজন।
ইউপি সদস্যা স্বপ্না বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলেকে ফুসলিয়ে নিয়ে মাসুকের ভাতিজি বাড়ি থেকে আমাদের অজান্তে পালিয়ে গেছে, এতে আমাদের কী অপরাধ? কিন্তু এ ঘটনার পর মাসুক, তার ভাতিজা বোরহান, রাকাব উদ্দিন, হত্যা মামলার আসামী ভাগ্নে মনসুর, শ্যালক আজহারুল ইসলাম সোহাগ সহ তার লোকজনের নানা রকম হুমকির কারনে বর্তমানে আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়ের কলেজে আসা বন্ধ হয়ে গেছে। মাসুক প্রতিশোধ নিতে আমার মেয়েক অপহরণ করে নিয়ে যাবে বলেও লোকজনের মাধ্যমে অহরহ হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাসুক আহমেদ মাসুদের বক্তব্য জানতে শনিবার যোগাযোগ করা হলে, সে বলে, আমি কাউকে হুমকি দেইনি। আমি আমার ভাতিজিকে ফিরিয়ে দিতে সারোয়ারের পরিবারের ওপর কিছুটা চাঁপ দিয়েছি।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্রী নন্দন কান্তি ধর বলেন, এ বিষয়ে শনিবার পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেননি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই